ঢাকার ধামরাইয়ে পৌর সভা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু। তবে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
সোমবার সকালে পৌর সভার বাগনগর এলাকার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু বলেন, ‘সরকারের প্রহসনের নির্বাচন এইডা। সরকারের ছত্রছায়ায় এই গুলা করতাছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় কবির মোল্লা এই গুলা করতাছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ চাই আমি। এটা কি ইলেকশন না কি? ওসি সাহেবরে পঞ্চাশবার রিং দিলাম। তাকে পাওয়া যায় না। ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত দিয়া আসছি। এই মর্মে, আমি পুনঃনির্বাচন চাই। আমি এই নির্বাচন মানি না। এটা প্রহসনের নির্বাচন। ২১টা কেন্দ্র থেকেই আমার এজেন্ট বাইর কইরা দিছে।
আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী গোলাম কবির মোল্লা সকালে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার পৌর সভা নির্বাচনকে মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছে। আমি এ পর্যন্ত প্রায় ১০টা কেন্দ্র ঘুরে এসেছি। সকাল ৭টায় বের হয়েছি বাসা থেকে। এত কনকনে শীতের মধ্যেও মানুষ সকাল ৭টায় ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাড়িয়ে আছে। এই উৎসব দেখে আমার মনে হচ্ছে ৭০-৮০% ভোট কাস্ট হবে। আমি আশাবাদী গত ৫ বছরে আমার কর্মদক্ষতা দিয়ে আমরা ধামরাই পৌরসভাটাকে একটা নান্দনিক পৌরসভায় রূপান্তরিত করেছি। একটা আধুনিক মডেল পৌর সভায় করার জন্য মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। আশা রাখি ধামরাইয়ের মানুষ ভুল করবে না। তারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারো এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবে।
বিএনপি প্রতিদ্বন্দীর অবস্থানের বিষয়ে বলেন, ‘খেলার মধ্যে প্রতিদ্বন্দীকে বড় প্রতিদ্বদন্দীই ভাবতে হয়। আমিও তাকে বড় প্রতিদ্বন্দীই ভাবি।’
বিএনপির প্রার্থীর ধামরাই সরকারি কলেজ (ভবন-৩) দক্ষিণপাড়া ১ নং কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমার সাথে ওনার দেখা হয় নাই। আমি যখন ওপেন করছি তখন ধানের শীষের এজেন্ট যারা ছিলো তাদেরকে আমি কার্ড দিছি, বসতে দিছি। নৌকার দিছি, সকলকে দিছি। জিরো ভোট যেটা সেটা তাদের সামনে প্রিন্ট দিয়ে স্বাক্ষর রেখে ওপেন করে দিছি।’
বিএনপি মেয়র প্রার্থী নির্বাচন প্রত্যাহার করেছেন কি না সে ব্যাপারে ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার মুনীর হোসাইন খান বলেন, না আমি পাই নাই। কোথায় দিয়েছে আমিতো জানি না।