করোনা ভাইরাসের কারণে এবার জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত হচ্ছে না। তবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
আজ রোববার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ জানান, বায়তুল মোকাররমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যে পাঁচটি জামাত হবে তার কোনোটিকেই আমরা প্রধান জামাত বলছি না। যদি প্রয়োজন হয় তবে আরও একটি জামাত হতে পারে। তবে সেটি পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।
জাতীয় ঈদগাহে রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্যসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নিয়ে থাকেন। এবার বায়তুল মোকাররমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কেউ অংশ নিচ্ছেন কিনা এখনও জানা যায়নি।
করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানো, জায়নামাজ বাসা থেকে নিয়ে আসা, নামাজ শেষে কোলাকুলি না করা ও হাত না মেলানো-সহ কিছু শর্ত পালন সাপেক্ষে সরকার এবার সমজিদে ঈদের নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়েছে, ঈদের দিন সকাল ৭টা, ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বায়তুল মোকাররমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করবেন থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেয কারী কাজী মাসুদুর রহমান।
দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ কারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।
৯টার তৃতীয় জামাতের ইমাম বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির মুয়াজ্জিন মাওলানা ইসহাক।
চতুর্থ জামাত হবে সকাল ১০টায়। এতে ইমাম থাকবে বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের প্রধান খাদেম মো. শহীদুল্লাহ।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। এতে ইমাম থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খান। মুকাব্বির হবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম হাফেজ মো. আমির হোসেন।
পাঁচটি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ।