ভারতের আসাম রাজ্যের কৃষকদের সেচের পানি আটকে দেওয়ার খবর গুজব ‘ভিত্তিহীন’ মন্তব্য করে এই অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ভুটান। একইসঙ্গে ভারতীয় কর্তৃপক্ষও স্বীকার করেছে ‘প্রাকৃতিক কারণেই পানি আটকে গিয়েছিল এবং সংবাদমাধ্যমে পুরো বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে আসাম সীমান্তে ডং ইরিগেশন চ্যানেল দিয়ে থিম্পু আসামের কৃষকদের সেচের পানি আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।
পরে বৃহস্পতিবার ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, সীমান্তবর্তী ২৫টি গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক সেচের পানি পাচ্ছেন না। এর জেরে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকরা। করোনার বিস্তার রোধের অজুহাত দেখিয়ে ভুটান এই পানি সরবরাহ বন্ধ করেছে বলেও দাবি করা হয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভুটানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এই অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন’ দাবি করে বলেছে, নয়া দিল্লি ও থিম্পুর সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে এটি একটি ‘ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’
এতে বলা হয়েছে, ‘এটি একটি দুঃখজনক অভিযোগ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটি স্পষ্ট করতে চায় যে, পানি প্রবাহ এই সময়ে বন্ধের কোনো কারণ নেই, তাই সংবাদ প্রতিবেদনটি পুরোপুরি ভিত্তিহীন।’
এদিকে আসামের মুখ্য সচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণাও ভুটানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেছেন, পানি আটকানোর ঘটনা ‘ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ক্ষেতে ইরিগেশন চ্যানেলটির পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিল প্রাকৃতিক।’
এক টুইটে তিনি জানান, প্রকৃতপক্ষে ভুটান সেই প্রতিবন্ধকতা অপসারণে কাজ করছিল।
সীমান্তবর্তী এই চ্যানেলটি ভুটান ও ভারতের কৃষকরা ১৯৫৩ সাল থেকে ব্যবহার করছেন।