ঈদ উপলক্ষে গতকাল রাত থেকেই রাজধানীর প্রবেশদ্বার সাভারের সড়ক-মহাসড়ক গুলোতে দূরপাল্লার গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে।
তবে আজ পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিইপিজেডসহ বেশিরভাগ শিল্পকারখানা ছুটি হলে এসব সড়কে গাড়ির চাপ আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ।
বুধবার (২৯ জুলাই) সকালে ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কসহ টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে।
ট্রাফিক পুলিশ জানায়, ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে গতকাল রাত থেকেই সাভারের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংকটাউন এলাকা থেকে গেন্ডা পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে যানচলালে ধীর গতি ছিল। এছাড়া একই সময় নবীনগর ও বাইপাইল ত্রিমোড়েও ছিল বাড়তি গাড়ীর চাপ।
বাইপাইল ত্রিমোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আব্দুস সাত্তার বলেন, ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে সকাল থেকেই নবীনগর-চন্দ্রা ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে সড়ক দুটির বাইপাইল মোড়ে যানচলাচলে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে। তবে তারা সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় এখনো কোন যানজট দেখা দেয়নি।
ঢাকা জেলা উত্তর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন জানান, ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে যানজট ভোগান্তিতে না পড়ে সে জন্য সার্বক্ষণিক জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ একযোগে কাজ করছে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে যাতে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে গাড়ি গুলোকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
তবে আজ বিকেলে গার্মেন্ট ছুটির পর সড়কে যানবাহন ও ঘরমুখী মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে। এতে যানজটের শঙ্কা থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে তারা সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। এছাড়া অল্প বৃষ্টিতেই টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে পানি জমে যাওয়ায় এই সড়কে যানজট সৃষ্টির শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।