সাভার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ৩৬ শিক্ষক ও কর্মচারী।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাভার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
এসময় তারা বলেন, গত ৬ থেকে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে কলেজটিতে চাকরি করার পরেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা এবং অবহেলার কারনে ২৪ জন শিক্ষক এবং ১২ জন কর্মচারীর চাকুরী স্থায়ীকরণ না হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সভায় পরিবার পরিজন নিয়ে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য অবিলম্বে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে চাকুরী স্থায়ীকরনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
শিক্ষকরা বলেন, আমরা জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে বিভিন্ন বিভাগে জাতীয় পত্রিকাসমূহে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতেই অস্থায়ীভাবে যোগদান করেছি। বর্তমানেও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি, অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানসহ একাডেমিক সকল কাজ এবং জাতীয় কাজে নিয়োজিত থেকে কলেজ কর্তৃক পূর্ণাঙ্গ মাসিক বেতন, ভাতাদিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছি। আমাদের স্থায়ীকরনের জন্য নিয়োগবোর্ড গঠন করে দুই বছরের মধ্যে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও অদ্যবধি নিয়োগ দেয়া হয়নি। কয়েক দফায় প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছি, যার তদন্তও হয়েছে। কিন্তু আদৌ চাকুরী স্থায়ী হবে কিনা তা কেউ বলতে পারছেনা। বর্তমানে আমাদের নতুন করে সরকারী চাকুরীতে আবেদন করার বয়সও পার হয়ে গেছে। এখন যদি চাকুরীটা স্থায়ী না হয় তাহলে আমাদের লেখাপড়ার কোন মূল্যই থাকবেনা, এমনকি পরিবারের কাছেও মুখ দেখাতে পারবোনা।
মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক মোঃ মাসুদ রানা বলেন, অস্থায়ী নিয়োগের পর থেকে আমরা কলেজকে ভালোবেসে এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে আমরা সকল শিক্ষকদের এক দিনের বেতনের টাকা করোনা ফান্ডে জমা দিয়েছি। নিয়োগের সর্বোচ্চ দুই বছরের মধ্যে আমাদের চাকুরী স্থায়ীকরনের কথা থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এখনও আমাদের স্থায়ী নিয়োগ হয়নি।
এবিষয়ে সাভার সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ ড. দিল আফরোজা শামীম বলেন, সাভার সরকারী কলেজের ৩৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর চাকুরী স্থায়ী করনের জন্য একাধিকবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নিয়োগবোর্ড গঠন করে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে নিয়োগ দেয়ার ঠিক আগ মুহুর্তে কলেজটির ছুটির দিন শুক্রবারে একটি ভূয়া চিঠির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত হওয়ায় বর্তমানে মেধা সম্পন্ন হওয়া সত্বেও কলেজটিতে অস্থায়ীভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর চাকুরী স্থায়ী না হওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে পথে চলে যাচ্ছে। এই অবস্থায় তিনি বিষয়টি মানবিকভাবে হলেও বিবেচনা করে চাকুরী স্থায়ী করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।