সাভারে এক কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে জোরপূবর্ক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এঘটনা মিমাংসার মাধ্যমে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত যুবক ও সহযোগী বাড়ির মালিক।
বুধবার ভাগলপুর হিন্দুপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষে ধর্ষণের শিকার হন ওই কিশোরী।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভার মডেল থানায় অভিযুক্ত দুইজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
মামলার প্রধান আসামি পলাতক নিজামুদ্দিন সরদার মিজান (৩০) বরিশাল জেলার অগৈলঝড়া থানার চাউকাঠি গ্রামের মৃত আবু বক্কর সরদারের ছেলে। অপর আসামি বাড়ির মালিক মোহাম্মদ শরীফ (৩৩) সাভার পৌরসভার ভাগলপুর হিন্দুপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী পরিবারের সাথে ভাড়া বাড়ির তৃতীয় তলায় বসবাস করেন। অভিযুক্ত যুবক নিজামুদ্দিনের সাথে ওই কিশোরীর বড় বোনের পূর্বে বিয়ে হয়েছিল। তবে লম্পট স্বভাবের হওয়ায় তিন মাস আগে তাদের তালাক হয়। এরপর থেকে নিজামুদ্দিন নানা ভাবে ওই কিশোরীর পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করতে থাকেন। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার সময় প্রতিদিনের মতো প্রাতঃভ্রমণে বের হয় ওই কিশোরী। দ্বিতীয় তলার সিড়িতে নামতেই নিজামুদ্দিন তার মুখ চেপে ধরে। এসময় বাড়ির মালিক শরীফের সহযোগিতায় তাকে টেনেহিঁচড়ে েএকটি কক্ষে নিয়ে যায় নিজামুদ্দিন। বাইরে থেকে কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয় বাড়ির মালিক। পরে নিজামুদ্দিন ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সোয়া ৭টার দিকে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে বিষয়টি পরিবারকে জানালে গতরাতেই থানায় অভিযোগ করেন কিশোরীর বাবা।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক হামিদুর রহমান বলেন, গতকাল কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার পর তা স্থানীয় ভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। তবে কারা মিমাংসার চেষ্টা করেছে তা জানা যায়নি। এঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা নিজামুদ্দিন ও বাড়ির মালিককে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢামেকের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
এসআই/শিরোনাম বিডি